মীম আহমেদ /পটুয়াখালী।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ অভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন, এর নেতৃত্বে অদ্য সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানাধীন রুপধন কাটাখালী এলাকা থেকে ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মুল অপহরণকারী মোঃ মনির মীর(২৭), পিতাঃ মোঃ আঃ খালেক মীর, সাং- রুপধন কাটাখালী, কাকচিরা ইউনিয়ন, থানাঃ পাথরঘাটা, জেলাঃ বরগুনাকে আটক করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আটক আসামী মোঃ মনির মীর নিজেকে পটুয়াখালী সদরের হেতালীয়া বাধঘাট এলাকায় অবস্তিত একটি খানকাহ শরীফের ফকির পরিচয় দিয়ে আনুমানিক ৩/৪ মাস পূর্বে আস্তানা গড়ে তুলে। এ সময় উক্ত খানকাহ শরীফের পাশেই অবস্তিত ভিকটিমের পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। এ ছাড়া খানকাহ শরীফের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়িতে গুপ্তধন উদ্ধারের গুজব ছড়ায়। ভিকটিমের পরিবারকেও গুপ্তধন উদ্ধারের প্রলাভন দেখিয়ে কৌশলে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে গত ০৯-০৫-২০২০ইং তারিখ ভন্ড ফকির মোঃ মনির মীর পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্ত অপহৃত ভিকটিমের পরিবার বিভিন যায়গায় খোজাখুজি করেও কোথাও না পেয়ে ভিকটিমের মা পটুয়াখালী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (পটুয়াখালী থানার জিডি নং-৩৮৮ তারিখ ১১-০৫-২০২০ইং) এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারে র্যাবের সহযোগিতা কামনা করেন। তদপ্রেক্ষিতে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে অভিযান চালিয়ে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানাধীন রুপধন কাটাখালী এলাকায় অবস্তিত একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এসময় মূল অপহরণকারী মোঃ মনির মীর(২৭), কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় যে, মনির একজন প্রতারক ও ভন্ড ফকির। ইতিপূর্বে সে ২টি বিবাহ করে এবং তার ২টি সন্তান রয়েছে। এই কিশারী ভিকটিমকে বিয়ে করার জন্য সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। উদ্ধারকত ভিকটিম ও আটককৃত আসামীকে পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।